শৈবাল কি। শৈবাল কাকে বলে। শৈবাল এর বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি।

আসসালামু আলাইকুম। আজকে আমরা যানব  শৈবাল বিজ্ঞান তথা শৈবাল সম্পর্কে। শৈবাল কি। শৈবাল কাকে বলে। শৈবাল এর বৈশিষ্ট্য। এসব বিষয় শেয়ার করব। 

শৈবাল কি। শৈবাল কাকে বলে। শৈবাল এর বৈশিষ্ট্য।

*Phycology শব্দের উৎপওি?

দুটি গ্রীক শব্দ Phykos বা Sea weeds → সামুদ্রিক আগাছা এবং Logos বা Knowledge → জ্ঞান সমন্বয়ে Phycology শব্দের উৎপত্তি। 

শৈবাল হল এক ধরনের অপুষ্পক উদ্ভিদ যা সালোকসংশ্লেষণ করে। এরা এককোষী বা বহুকোষী হতে পারে। শৈবালের দেহে সত্যিকারের মূল, কাণ্ড ও পাতা থাকে না। এরা সমাঙ্গদেহী বা থ্যালয়েড। শৈবালের কোষ প্রাচীর প্রধানত সেলুলোজ নির্মিত।

*শৈবাল কাকে বলে?

শৈবাল সাধারণত সমাঙ্গদেহী, সালোকসংশ্লেষণকারী, অভাস্কুলার উদ্ভিদ যাদের স্পোরাঞ্জিয়া (Sporangia) সর্বদাই এককোষী, জনন অঙ্গ ব্যক্ত এবং জাইগোট স্ত্রী জননাঙ্গে থাকাকালীন কখনও বহুকোষী ভ্রূণে পরিণত হয় না।

G.M. Smith-এর মতে, সমাঙ্গদেহী স্বভোজী উদ্ভিদ গোষ্ঠীকেই শৈবাল বলে।

R.M. Singh-এর মতে, যেসব উদ্ভিদ সমাঙ্গদেহী বিভিন্ন ধরনের রঞ্জক পদার্থ বহন করে এবং সালোকসংশ্লেষণের শেষে O2 নির্গমণে সক্ষম তারাই শৈবাল।

উদ্ভিদবিজ্ঞানের যে শাখায় শৈবাল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় তাকে শৈবাল বিজ্ঞান (Phycology) বলে।

* শৈবালের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো লিখ।

১. শৈবাল সমাঙ্গদেহী। তাই এদের দেহকে কখনই মূল, কাণ্ড পাতায় বিভেদিত করা যায় না।

২.শৈবাল এর দেহে ক্লোরোফিলের উপস্থিতি আছে তাই এরা সালোকসংশ্লেষণে সক্ষম । কাজেই খাদ্যের বিচারে এরা স্বভোজী।

৩. শৈবালের কোষপ্রাচীর সেলুলোজ ও পেকটিন দ্বারা গঠিত।

৪. দু’একটি ব্যতিক্রমী সদস্য ছাড়া অধিকাংশ শৈবালের সঞ্চিত খাদ্য শর্করা জাতীয় বা কার্বোহাইড্রেট।

৫. শৈবালের স্পোরাঞ্জিয়াম বা রেণুস্থলি সর্বদাই এককোষী।

৬. অধিকাংশ শৈবালের জননাঙ্গ এককোষী।

৭. কোনো কোনো শৈবালের জননাঙ্গ বহুকোষী হলেও সাধারণতঃ বন্ধ্যা কোষ দ্বারা আবৃত থাকে না।

৮. কয়েকটি ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে বহুকোষী জননাঙ্গ বন্ধ্যা কোষ দ্বারা আবৃত ।

৯. জনন তিন ধরনের অঙ্গজ, অযৌন ও যৌন।

১০. নিম্নশ্রেণির কিছু শৈবালে খণ্ডায়ন, মুকুলোদগম, হর্মোগোনিয়াম ইত্যাদির মাধ্যমে অঙ্গজ জনন সম্পন্ন হয়।

১১. এর রেণুস্থলি সর্বদাই এককোষী।

১২. এদের সুস্পষ্ট জনুঃক্রম অনুপস্থিত।

উদাহরণ → Volvox, Chara, Polysiphonia ইত্যাদি।

Next Post Previous Post