মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়। অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি।

আসসালামু আলাইকুম। প্রযুক্তির এই আধুনিক যুগে এসে আমাদের বেকার থাক একটা বোকামি। আমরা এখন চাইলে খুব সহজে আমাদের হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারি। আজকে আমরা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অনেক গুলো উপায় দেখব। আপনি এর কোন এক/দুই টা কে টার্গেট করে কাজে লেগে যান। আশা করি আপনি ও মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়। অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি।

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়।

ইউটিউব থেকে মোবাইল দিয়ে ইনকাম। 

আমার পছন্দের লিস্ট এ ইউটিউব কে এক নাম্বার এ রাখি। ইউটিউব এক নাম্বার এ রাখার কারন আছে। সবচেয়ে বড় কথা আমি নিজে ইউটিউব এ কাজ করি এবং ইনকাম ও করেছি। আপনার যদি একটা চ্যানেল থাকে অনেক পদ্ধতি আছে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার। তাই এখনই ইউটিউব এ কাজ শুরু করার ব্যাপারে সিরিয়াস ভাবুন। 

ইউটিউব এ মোবাইল দিয়ে অনেক ক্যাটাগরির কাজ করা যায়। যদি সবচেয়ে তারাতাড়ি ইনকাম শুরু করতে চান তাহলে অনলাইন থেকে ইনকাম এই বিষয় টা নিয়ে কাজ করতে পারেন। এখানে খুব সহজে রেফার প্রোগ্যাম ও  প্রমোট করে ইনকাম করা যায়। আর যদি লং টাইম সময় দিয়ে ভালো ইনকাম করতে চান। তাহলে আপনি যেকোনো একটা ক্যাটাগরি সিলেক্ট করুন। তার উপর নিয়মিত ভালো ভালো ভিডিও আপলোড করুন। এক সময় ভালো ইনকাম করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ইউটিউব এ কাজ করতে চান অনেক ক্যাটাগরি তে কাজ করতে পারবেন। কিছু ক্যাটাগরি নিচে দেওয়া হল। 

  • অনলাইন ইনকাম 
  • টেকনোলজি
  • ব্লগিং
  • শর্ট ভিডিও 
  • ফানি ভিডিও
  • ইত্যাদি
একটা কথা বলে রাখি বর্তমান সময়ে কিন্তু শর্ট ভিডিও অনেক  বেশি ও তারাতাড়ি ভিউ পাওয়া যায়। ফেসবুক এবং ইউটিউবে লং ভিডিওর তুলে নাই শর্ট ভিডিওতে তাড়াতাড়ি মনিটাইজেশন পাওয়া যাচ্ছে। 

ফেসবুক থেকে মোবাইলে দিয়ে টাকা ইনকাম। 

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়। অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি।

ফেসবুক থেকে ইনকাম করা যায় youtube এর মতোই। ফেসবুক থেকে ইনকাম করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তারপর আপনাকে সেই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হবে। আপনি ইউটিউবে জন্য যেই ভিডিওগুলো তৈরি করবেন। চাইলে সেই একই ভিডিও আপনি ফেসবুকে আপলোড করতে পারবেন। 

ইউটিউবের মতো ফেসবুকে মনিটাইজেশন করে ইনকাম করা যায়। তাছাড়া আপনি এফিলেট মার্কেটিং সহ বিভিন্ন প্রোমোশন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। ইউটিউব একটি ওপেন মার্কেট প্লেস যেখানে আপনি যে কোন অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করতে পারবেন। তবে ফেসবুকে আপনি এগুলো করতে পারবেন না তাহলে আপনার একাউন্টের সমস্যা হবে। 

ব্লগিং/লেখালেখি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম। 

মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করা যায়। ব্লগিং বলতে আমি বোঝাতে চাচ্ছি আপনারা মোবাইল দিয়ে লেখালেখি করে ইনকাম করবেন। এটা করার জন্য আপনারা প্রথমে ব্লগার ডট কমে আপনাদের একটা সাইট তৈরি করবেন। তারপর সুন্দর মত আপনার সাইট ডিজাইন করবেন। তারপর নিয়মিত সেখানে পোস্ট লিখে আপলোড করবেন। আপনার সাইটটাকে গুগলে এড করবেন। 

যখন আপনার সাইট গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল হয়ে যাবে তখন আপনি মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও এখানে সিলেট মার্কেটিং সহ বেশ কিছু প্রমোশন থেকে ইনকাম করা যায়। ইউটিউবে প্রচুর ফ্রী ভিডিও পাবেন যেগুলো দেখে আপনি ব্লগার ডট কমের সকল কাজ শিখতে পারবেন। 

ব্লগার হচ্ছে গুগলের একটা ফ্রি সাইট। এখানে সম্পূর্ণ ফ্রিতে আপনি কাজ করতে পারবেন। তবে আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে কাজ করতে চান। তাহলে আমি আপনাদের সাজেশন করব একটা টপ লেভেলের ডোমেন কিনে তারপর এখানে এড করে কাজ করবেন। ডোমেইন এর জন্য প্রতি বছর সামান্য কিছু টাকা আপনার খরচ করতে হবে। 

ফাইবার থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম।

ফাইবার হচ্ছে বর্তমান সময়ের অনেক পপুলার একটা মার্কেটপ্লেস। পৃথিবীর সেরা দুই তিনটা মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে ফাইবার একটা। সারা পৃথিবী থেকে প্রচুর মানুষ এখানে কাজ করে এবং অনেক বায়ারেরা এখানে কাজ দেয়। আপনি আপনার স্কিল ব্যবহার করে এখান থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে মোবাইল দিয়ে সব কাজগুলো আপনি এখানে করতে পারবেন না। 

কনটেন্ট রাইটিং, ট্রানসলেশন , ফেসবুক পেজ তৈরি সহ অনেক কাজ আছে যেগুলো মোবাইল দিয়ে করা যায়। এখানে কাজ করার জন্য প্রথমে আপনাকে ফাইবারে একটা প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। তারপর আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী এবং সামর্থ্য অনুযায়ী এখানে গ্রিক তৈরি করবেন। তারপর এখান থেকে কাজ পেলে সেখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। আরো ভালো ধারণা নেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনি অনলাইন এবং ইউটিউবে ভালো করে রিচার্জ করে নেবেন। ফাইবার সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা নিয়ে নেবেন। 

আপ ওয়ার্ক থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম।

ফাইবারের মতো আপ ওয়ার্ক একটা মার্কেটপ্লেস। এ দুইটা সাইটের কনসেপ্ট এক কিন্তু কাজের ধরন ভিন্ন। ফাইবারে যেমন আপনি গিগ তৈরি করবেন এখানে আপনাকে কাজের জন্য এপ্লাই করতে হবে। অবশ্যই তার আগে আপনার প্রোফাইল সম্পূর্ণ সুন্দরভাবে তৈরি করে নিতে হবে। প্রোফাইল তৈরি করা হয়ে গেলে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী এবং যোগ্যতা অনুযায়ী কাজের জন্য এপ্লাই করবেন। 

সারা পৃথিবী থেকে বিভিন্ন দেশের মানুষ তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ওয়ার্কার এখানে খুঁজে থাকেন। সারা পৃথিবী থেকে মানুষ এখানে কাজ করার মাধ্যমে ইনকাম করে থাকে। 

ফ্রিলেন্সিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম। 

ফইবার ও আপওয়ার্ক নিয়ে তো কথা বললাম । এখন আসলে আপনি মোবাইল দিয়ে আসলে এখানে কি  কি কাজ গুলো করতে পারবেন চলুন তার ছোট একটা লিস্ট দেখে নেই। আপনি চাইলে তার থেকে একটা শিখে নিতে পারেন।

  • ব্লগ কমেন্টিং 
  • কনটেন্ট রাইটিং 
  • ট্রান্সলেশন 
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট 
  • প্রুফরিডিং 
  • কপিরাইটিং ফোরাম পোস্টিং 
  • প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন রাইটিং 
  • ট্রান্সক্রিপশন

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম। 

এট মার্কেটিং করে আপনাকে ইনকাম করতে হলে অবশ্যই একটা পপুলার facebook পেজ youtube চ্যানেল অথবা ওয়েবসাইট থাকতে হবে। পরবর্তী ধাপ হচ্ছে আপনাকে যে কোন একটা এফিলেট মার্কেটপ্লেসে জয়েন করতে হবে। পৃথিবীর যেকোনো দেশ থেকে amazon এফিলেট এ জয়েন করা যায়। প্রচুর মানুষ রয়েছে যারা amazon এপিলেট মার্কেটিং এর সার্ভিস দেয়। তারা সেখান থেকে ভালো একটা এমাউন্ট ইনকাম করে। 

আপনি যেকোন দেশেই থাকেন না কেন অবশ্যই নিজের দেশের বেশ কিছু অনলাইন স্টোর রয়েছে। দারাজ হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে পপুলার মার্কেটপ্লেস। দারাজ থেকেও এফিলেট মার্কেটিং করে ইনকাম করা যায়। আপনি যেই দেশে থাকেন সেই দেশের কোন এফিলেট মার্কেটিং প্লেস থেকে আপনি সবচেয়ে ভালোভাবে ইনকাম করতে পারবেন সেটা আপনি রিচার্জ করে নেবেন। আপনি কোন ক্যাটাগরি নিয়ে কাজ করবেন অবশ্যই সেই ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রোডাক্ট শেয়ার করার চেষ্টা করবেন। 

মাইক্রো জব করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম। 

ইতিপূর্বে আমরা যেই ইনকাম সাইটগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি সেগুলো আপনার ফিউচার ডেভেলপ করে দিতে পারে। আমাদের অনেকে আছে যারা চাচ্ছেন প্রথম দিন থেকে ইনকাম করতে। এর সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশের মানুষের দারিদ্রতা হার অনেক বেশি। তারা নিজেদের প্রত্যেক দিনের খরচ নিজেরা মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে চায়। তাদের জন্য মূলত মাইক্রো জব সাইট। এসব সাইটগুলোতে আপনি ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। 

এগুলোতে কাজ করার জন্য আপনাকে খুব বেশি কাজ জানতে হবে না। তবে ভবিষ্যতের জন্য এটা কখনোই ভালো পদক্ষেপ নয়। আপনি যদি বর্তমানে এমন কোন ক্রাইসিসে থাকেন যে প্রত্যেকদিন আপনার 100 বা 50 টাকার মত দরকার। তাহলে মাইক্রো সাইটগুলো আপনার জন্য ভালো অপশন হতে পারে। 

এসব সাইটগুলোতে কাজ করে আপনি ইনকাম করে পেমেন্ট নিতে পারবেন। তবে আপনার লক্ষ্য হওয়া উচিত যে কোন একটা ভালো কাজ শিখে তারপর ইনকাম করা। যদি আপনি বর্তমানে সমস্যায় থাকেন তাহলে এসব সাইটগুলোতে কাজ করবেন। করার পর যখন সমস্যা চলে যাবে তখন অন্য কাজে মন দেবেন। আপনি যদি মাইক্রো জব সাইট লিখে গুগল কিংবা ইউটিউবে সার্চ করেন তাহলে অনেক বড় একটা মাইক্রো জব  সাইট এর লিস্ট আপনি দেখতে পাবেন। সেখান থেকে ভালো ভালো দুই একটাতে কাজ করতে পারে। 

অ্যাপ থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম।

অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য প্রচুর অ্যাপ বর্তমানে মার্কেটে রয়েছে। প্রত্যেকদিন নতুন নতুন অ্যাপ মার্কেটে আসছে এবং চলে যাচ্ছে। মাইক্রো জব সাইটের তুলনায় অ্যাপ থেকে ইনকাম তুলনামূলক কম হয়। তবে আপনি চাইলে নিজেও যে কোন একটা অ্যাপ কিনে সেখানে মানুষকে দিয়ে কাজ করাতে পারেন। 

অনেক অ্যাপ ডেভেলপার আছে যারা ৫ ০০০/৭০০ টাকায় অ্যাপ বিক্রি করে। তবে এই কাজগুলোতে প্রচুর রিক্স রয়েছে। তবে আপনারা নরমাল একটা অ্যাপ কিনে কয়েকজন ফ্রেন্ড সার্কেল মিলে সেখানে এড ক্লিকের কাজ করতে পারেন। এটা নিয়ে আপনার অনলাইনে ভালো করে রিচার্জ করে নেবেন। 

আর যারা অন্যজনের অ্যাপ এ কাজ করতে চান। তাদের উদ্দেশ্যে বলবো ভাই এটাতে শুধু আপনার সময় নষ্ট হবে। এখান থেকে আপনি এমন কোন টাকা ইনকাম করতে পারবেন না যদি আপনি কিছু একটা করতে পারবেন। তাই আমি বলব আপনারা হয় বন্ধুরা মিলে একটা অ্যাপ কিনে নিজেদের গ্রুপ ভাবে কাজ করেন। অথবা এই এক দুই টাকার জন্য এড ক্লিকের কাজ করে কোন ফায়দা হবে না। 

ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম। 

ক্রিপ্টে-কারেন্সি থেকে ইনকাম করা কিন্তু অনেক রিস্ক এর একটা কাজ। এখানে আপনার লাভ ও হতে পারে আবার লস ও হতে পারে। অনলাইন এ আগে জেনে নিবেন এই ব্যাপার এ। অনেক ভালো জ্ঞান অর্জন করার পর এখানে ইনভেস্ট করবেন। আর একটা কথা মনে রাখবেন অনেক দেশে এটা নিষিদ্ধ। তাই আগে এই ব্যাপার এ ভালো করে জেনে তারপর কাজ করবেন। 

ক্রিপ্টো কারেন্সিতে আপনি রাতারাতি ধনী কিংবা রাতারাতি ফকির হয়ে যেতে পারেন। এজন্য কখনোই খুব বেশি লোভ করবেন না। অবশ্যই আগে মানি ম্যানেজমেন্ট শিখে তারপর ট্রেডিং করবেন। 

শেয়ার মার্কেট  থেকে  মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম। 

শেয়ার মার্কেট থেকে ইনকাম করা যায়। এখানে আপনি ইনভেষ্ট করে ইনকাম করতে পারবেন। তবে এখানে ও আপনার লস হতে পারে। শেয়ার মার্কেট এ আপনি ইনভেষ্ট করার আগে এই নিয়ে রিচার্জ করে নিবেন। 

বাংলাদেশের এবং দেশের বাইরে অনেক শেয়ার মার্কেট রয়েছে। বাংলাদেশের তুলনায় বিদেশি বা ইন্টারন্যাশনাল শেয়ার মার্কেট গুলো ভালো কাজ করে। কখনোই এক জায়গায় সব ইনভেস্ট করবেন না। রিচার্জ করে ভালো ভালো অনেকগুলো কোম্পানিতে ইনভেস্ট করবেন। শেয়ার মার্কেটে সাধারণত লম্বা সময়ের জন্য ইনভেস্ট করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। 

আপনি যেখানে ই ইনভেষ্ট করেন না কেন কিছু কথা মনে রাখবেন। ইনভেষ্ট কখনো এমন টাকা করবেন না যেটা আপনার প্রয়োজন। ইনভেষ্ট করবেন  ওই টাকা যা যদি আপনি ৫/১০ বছর রেখে দেন কিছু হবে না। কারন অনেক সময় আপনি এক লক্ষ টাকা ইনভেষ্ট করলে তা ৫০ হাজার হয়ে যেতে পারে। তখন আপনার কাজ হচ্ছে অপেক্ষা করা। আবার যখন এটা বেড়ে এক লক্ষ টাকার উপর এ যাবে তখন সেল করবেন। এখন আপনার যদি প্রয়োজন এর টাকা এখানে ইনভেষ্ট করেন তাহলে আপনি কিন্তু লস এ সেল দিয়ে টাকা তুলে ফেলতে হবে। তাই ইনভেষ্ট করার আগে এটা শিউর করবেন যেন আপনার টাকা যেন সেব করা অতিরিক্ত টাকা হয়।

রিসেলিং ব্যবসা করে  মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম। 

এটা আপনি অ্যাফিলেট মার্কেটিং এর মত মনে করতে পারেন। তবে এখানে অনেক গুলো পার্থক্য আছে। অফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য বেশিরভাগ যায়গায় একাউন্ট করার জন্য আপনাকে ভালো চ্যানেল কিংবা ওয়েবসাইট এর লিংক দিতে হয়। তবে রিসেল ব্যাবসা এরকম নয়। আপনার কোন ফেসবুক পেজ, চ্যানেল বা ওয়েবসাইট না থাকলে ও এই কাজটা আপনি করতে পারবেন। এখানে আপনার কাজ পন্য যেকোন ভাবে সেল করে দেওয়া। আপনি যত বেশি সেল করতে পারবেন তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যে দেশে ই থাকেন না কেন। আপনি  কোন না কোন  রিসেলিং অ্যাপ বা সাইট ইউটিউব বা গুগল এ খুঁজলে পেয়ে যাবেন।

কিছু অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট আছে যেগুলো সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য রিসেলিং এর সুযোগ দিচ্ছে। আপনি টপ রিসেলিং অ্যাপ বাংলাদেশে লিখে সার্চ করলে বাংলাদেশের গুলো পাবেন। আপনি যেই দেশেই থাকেন না কেন বাংলাদেশ এর যায়গায় সেই দেশের নাম লিখে সার্চ করলে সেই দেশের সাইটগুলো পেয়ে যাবেন। 

ফটোগ্রাফ বা ভিডিও বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম। 

আপনার মোবাইল এর ক্যামেরা যদি ভালো হয় আপনি কিন্তু এটা দিয়ে ছবি তুলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার কাজ হবে সুন্দর ছবি তুলে অনলাইন এ বিক্রি করা। অনেক মানুষ আছে যারা এটাকে নিজের প্রফেশন হিসেবে নিয়েছে।

আপনি যদি ফটো কিংবা ভিডিও বিক্রি করে ইনকাম করতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে কোয়ালিটির উপর। আপনার ফটো কিংবা ভিডিও যত ভালো কোয়ালিটির হবে তার মূল্য তত বেশি হবে এবং বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। 

ভিডিও এডিটিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম। 

একটা সময় মোবাইল দিয়ে খুব ভালো ভিডিও এডিটিং করার সুযোগ ছিল না। সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তি উন্নত হওয়ার পর বর্তমানে অনেক পাওয়ারফুল এক রয়েছে যেগুলো মোবাইল দিয়ে চালানো যায়। ভিডিও এডিটিং এর অনেক পাওয়ারফুল এপ মোবাইল দিয়ে ব্যবহার করা যায়। আপনি যদি কয়েকদিন সময় দিয়ে মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং শেখেন তাহলে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এমন কিছু কাজ আছে যেগুলো আপনি একটা অ্যাপ দিয়ে করতে পারবেন না সেগুলো আপনি চাইলে দুই তিনটা অ্যাপ ব্যবহার করে কাজগুলো সহজ করতে পারে। যেই অ্যাপ দিয়ে যে কাজটা সহজে করা যায় আপনি সেই অ্যাপ দিয়ে সেই কাজটা করবেন। যদিও কাজটা একটু কঠিন তবে ভিডিও এডিটিং এর মার্কেটে অনেক বড় হয়েছে এবং এই কাজের অনেক ভালো চাহিদা। 

রেফার মার্কেটিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম। 

আপনি এই কাজটা আরো সুন্দর ভাবে করতে পারবেন। ফেসবুক ও ইউটিউব ভিডিও  তৈরি করে। যদি আপনি এমন হন যে কোনভাবে তা করতে পারবেন না তাহলে আপনার জন্য এটা দ্বিতীয় অপশন। যে অ্যাপ বা সাইট গুলো থেকে রেফার করে ইনকাম করা যায়। সেগুলো ফেসবুক সহ বিভিন্ন স্যোসাল মিডিয়াতে শেয়ার করে ইনকাম করা। যত  বেশি রেফার করতে পারবেন তত বেশি ইনকাম হবে। 

আমরা যারা বাংলাদেশে থাকি অনেক সময় অনেক রেফার ইভেন্ট পাই। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় নগদ কিংবা বিকাশের কথা। বিকাশ তাদের রেফার ইভেন্ট সবসময় চালু রাখে। নগদ একটা সময় চালু করল বর্তমানে তা বন্ধ করে দিয়েছে। এরকম নতুন নতুন অনেক ভালো কোম্পানি আসে যারা রেফার কোড ইনকাম করার সুযোগ দেয়। আপনি যদি রেফারের কাজ করতে চান সেক্ষেত্রে এই বিষয়ে আপনাকে সব সময় খবরাখবর রাখতে হবে। 

লিংক শর্টেনার সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম। 

এটা নিয়ে অনেক এর হয়তো ধারনা আছে নাও থাকতে পারে। আপনি ভাইরাল কোন টপিক এর লিংক কপি করবেন। তারপর তা একটা লিংক শর্টেনার সাইট এর মাধ্যেমে শর্ট করে শেয়ার করবেন। তখন কেউ যদি এই লিংক এ ক্লিক করে ভিজিট করে আপনি কমিশন পাবেন। 

এই কাজগুলো ফেসবুক এ তেমন করা যায় না। কারন বারবার ফেসবুক এ লিংক শেয়ার করলে ফেসবুক আপনার আইডি ব্যান করে দিতে পারে। তাই ফেসবুক ছাড়া অন্য প্লাটফর্ম সিলেক্ট করবেন। আপনি যদি উন্নত দেশের ভিজিটর আনতে পারেন। এখানে থেকে ও ভালো ইনকাম করা সম্ভব। 

লিংক শর্ট এনার সাইট থেকে ইনকাম করার জন্য সব সময় আপনাকে ভাইরাল টপিক নিয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশী ভিজিটের জন্য খুব বেশি টাকা পাওয়া যায় না। তবে আপনি যদি উন্নত দেশের ভিজিটর নিতে পারেন প্রতি হাজার ক্লিকের জন্য আপনি ১০ থেকে ১৫ ডলার ইনকাম করতে পারেন। 

ইন্টারনেট অফার সেল করে মোবাইল দিয়ে ইনকাম। 

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে প্রচুর মানুষ এটা নিয়ে কাজ করছে। তারা সাধারণত কোম্পানি থেকে অফার কিনে সেগুলো বিক্রি করে। আপনি চাইলে এরকম বিক্রি করে তাদের সহকারী হতে পারেন। তারা যেই অফার গুলো বিক্রি করবে আপনি বলবেন আপনি তাদের গুলো বিক্রি করে দেবেন যাতে আপনাকে কমিশন দেয়। এভাবে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এখানে প্রথম এ ইনকাম কম হবে। তবে আপনার অনেক গুলো কাস্টমার হয়ে গেলে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।

ডেলিভারি সার্ভিস/ড্রাইভিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম।

যদিও এটা অনলাইনে ঘরে বসে করার মত কোন কাজ নয়। তবে আপনি অনলাইন ব্যবহার করে এই কাজটা করতে পারবেন। বাংলাদেশের ডেলিভারি ম্যান এর কাজ করে ইনকাম করা যায়। এর জন্য আপনি যে কোন একটা কুরিয়ার সার্ভিসে যোগ দিতে পারেন। আপনি একটু খোঁজাখুঁজি করলে অনেক ভাল সার্ভিসগুলো পেয়ে যাবেন। পাঠাও/ ফুডপান্ডা এগুলা তে অনেক স্টুডেন্ট আছে যারা পার্ট টাইম কাজ করে। আর আপনার যদি কোন বাইক থাকে তাহলে আপনি চাইলে ড্রাইভিং এর কাজ করতে পারেন। আপনি যদি মানুষকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে দেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে তারা টাকা দেবে। এই কাজটা করার জন্য বর্তমানে অনেক অ্যাপ চালু হয়েছে যেটা বাংলাদেশ থেকে আপনি ব্যবহার করতে পারছেন। 

টিউশন করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম। 

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ছাত্রছাত্রীদের করা কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে টিউশনি। আপনি চাইলে এটাকে আরো আধুনিক করে অনলাইনে করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি বেশি স্টুডেন্ট পেতে পারেন এবং বাস্তবে করার চাইতে অনলাইনে আপনি করিও অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারেন। এই কাজটা করার জন্য অবশ্যই আপনি প্রথমে নিজে নিজে প্র্যাকটিস করবেন তারপর আপনি ছাত্র-ছাত্রী যোগ দেবেন। আপনি যদি এখানে সাকসেসফুল হতে পারেন তাহলে আপনার লাইফে আর দ্বিতীয় অপশন খুঁজতে হবে না। 

Airdrop থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম। 

সাধারণত কোন কোম্পানি যখন নতুন মার্কেটে আসে তাদেরকে কেউ চিনে না। তাই তারা তাদের প্রমোশনের জন্য প্রথমে অফার দেয়। যেমন মনে করেন আপনি তাদের অ্যাপ ডাউনলোড করবেন অথবা তাদের ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন এবং তাদের সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ ফলো করবেন। এরকম যারা করবে প্রথম দশ হাজার জনকে তারা প্রত্যেককে ১০ ডলার করে দেবে। অনেক সময় এর থেকে অনেক কম কিংবা অনেক বেশি দিতে পারে। আপনি যদি এরকম প্রত্যেকটি অফারের প্রত্যেকদিন জয়েন করতে থাকেন তাহলে আপনি প্রত্যেকটি অফার থেকে মাস শেষে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এয়ার ড্রপে যারা কাজ করবে তাদের অবশ্যই দূর জড়িয়ে কাজ করতে হবে। এরকম অফার যারা কাজ করে তারা সব কাজ থেকে পেমেন্ট পায় না। দেখা যাবে আপনি ৫০০টা অফারে জয়েন করবে তার থেকে পাঁচ দশটার পেমেন্ট পাবেন। কিন্তু এই পাঁচ দশটা থেকে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

বেশিরভাগ Airdrop ক্রিপ্টোকারেন্সি এর মাধ্যমে পেমেন্ট করে। এয়ার ড্রপ শেয়ার করে এরকম টেলিগ্রাম কিংবা ফেসবুক সহ যেকোন সোশ্যাল মিডিয়ার কমিউনিটিতে আপনি জয়েন হতে পারেন। আপনি চাইলে নিজেরও একটা কমিউনিটি তৈরি করতে পারেন সেখানে অফারগুলি শেয়ার করতে পারেন। নিজের কমিউনিটি তৈরি করতে কমিশন পাবেন। ধৈর্য  নিয়ে কাজ করতে থাকলে আপনি একদিন সফলতা পাবেন ইনশাআল্লাহ। 


  • TAGS
  • Rickshaw Puller Paragraph  
  • মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়
  • মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়
  • মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতিমাইক্রো জব করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকামমাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়ফ্রিলেন্সিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকামমোবাইল দিয়ে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্টব্লগিং/লেখালেখি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
    Next Post Previous Post